শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

করোনার থাবায় পেছাতে পারে এইচএসসি

ফাইল ছবি

তরফ নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, মারা গেছেন একজন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বৃহস্পতিবার বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক স্থগিত হয়েছে, তবে পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা তা আরও এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পরীক্ষা আয়োজনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।

এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এরআগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কাছাকাছি সময়ে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে এক বেঞ্চ পর পর সিট প্ল্যান করা হবে বলে তিনি জানান।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো ও কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার সাথে কয়েক লাখ কর্মকর্তা, শিক্ষক জড়িত। তার সঙ্গে সারাদেশে ১১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে। পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে কর্মকর্তা-শিক্ষকদের সভা করতে সমাবেত হতে হয়। এতে করে একে অপরের সংস্পর্শে এসে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলোও।

একাধিক অভিভাবক বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্কুল-কলেজের পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভর। সহপাঠীদের সঙ্গেও শেয়ারিং করে পড়াশোনা করে। সরকার শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে বলেছে। এখন তারা কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।

তারা এমন কথাও বলছেন- একটি ক্লাসে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো হয়। আর পরীক্ষার হলে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জনকে এক রুমে বসানো হয়। পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক, প্রশাসনের লোকজন দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষও ভিড় করনে। পরীক্ষার্থীদের নিজ কলেজ থেকে দূরের কলেজ পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। এসব কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও আতঙ্কে আছেন। সরকার সভা সমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত সোমবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন সব পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবদের সভা ডাকা হলেও তা স্থগিত করা হয়।

আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com